সাহিত্য

বিহঙ্গ

বিহঙ্গ

রোজকার এই চাপা কষ্টটা আর নিতে পারছে না অনু। এক ছাদের নিচে থেকেও সায়নের সাথে দুরত্বটা  ক্রমশ বেড়েই চলেছে । ছোটখাটো বিষয় নিয়েও অশান্তি হয় আজকাল। অথচ অনু প্রাণপণে চেষ্টা  করে যাতে অশান্তিটা না হয়। বিয়েটা বাবা মায়ের পছন্দেই হয়েছিল,অনুর নয়। তবে অশান্তির কারণ সেটা নয়।  বরের উদাসীনতা ,অবহেলা,উপেক্ষা,দুর্ব্যবহার সব কিছু মাথা পেতে নিয়েই দিন কাটাচ্ছিল সে। সবাই বলত সন্তান এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এমন কি সায়নও খুব উৎসাহ দেখাল ছেলেটা যখন পেটে এল।দায়িত্তশীল স্বামীর ভুমিকা নিয়েছিলো তখন, হ্যাঁ ভূমিকাই বটে কারণ দায়িত্তশীলতার সীমাবদ্ধতা শুধু ওই টুকু সময়ের জন্যই ছিলো ।তারপর আবার আগের মতই ছন্নছাড়া দাম্পত্য। আজকাল ব্যপারটা আরো…
Read More
গ্রামের নাম ২৮ মাইল 

গ্রামের নাম ২৮ মাইল 

পূর্ব ডুয়ার্সের কথা ভাবলেই ২৮ মাইল বনগ্রামের কথা মনে পড়ে যায় ।  চারিদিকে নিবিড় ঘন অরণ‍্য, সেখানে সবুজের কত শেড , অরিন্দম দাদা হিমশিম খেয়ে যেত সেই শেড তুলিতে ধরতে  । হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় নীল পাহাড় । শীতকালে গোটা গ্রাম ভরে যায় হলুদ সরষে খেতের ঢেউয়ে  । সরষেখেতের মাঝে মাঝে কিছু টংঘরের সোভা কখনও ভোলা যায় না ।                   ছবির মতো সুন্দর এই গ্রামের নাম ২৮ মাইল । গ্রামের এই অদ্ভূত নামে কৌতুক বোধ করলেও পরে জানতে পারবেন রাজধানী কোচবিহার থেকে এর দূরত্বের কথা।        এই গ্রামে থাকা খাওয়ার…
Read More
অবহেলিত

অবহেলিত

এই বকুলবাগানের প্রতিটা লোক প্রায় প্রতিটা লোকের খবর রাখে --- মানে এমনিতেই খবর চলে আসে , জায়গাটা এতই ছোটো ।কারো বাড়িতে বিয়ে অন্নপ্রাশন জন্মদিন যাই হোক না কেন বকুলবাগানের একে অপরের নিমন্ত্রিত সবাই জানে। আবার শোকে তাপেও একে অপরের সাথে আছে ।যেন একটি বর্ধিত পরিবার।আমার বাড়ি পাড়ার শেষ প্রান্তে ।আর ঠিক আগের বাড়িটাই মুখার্জিদের । এখন প্রায় ভগ্ন দশা। পঁয়ত্রিশ বছর আগে আমি এই বকুল বাগানে বাড়ি করি ঐ মুখার্জিদের জমি কিনে নিয়ে ।অবনী মুখার্জী বাড়ির কর্তা ছিলেন। দীর্ঘদেহি সুপুরুষ ---গিলে করা সাদা পাঞ্জাবী ও ধুতিই তাঁর পোষাক। তখন কিন্তু তাদের পড়ন্ত বেলা , কিন্তু বাহ্যিক প্রকাশ ছিল না। মাঝে…
Read More
বাইরের বিকেল

বাইরের বিকেল

সকাল থেকে এমনিতেই মুড অফ ছিল। কাল সরস্বতী পুজো, অথচ বৃষ্টির সদয় দৃষ্টির কারণে কোনো কাজই গুছিয়ে আনা হয়নি। কালকের দিনটা নিয়ে সেই ছোট থেকেই উৎসাহিত থাকি, আর এবারেও তার ব্যতিক্রম নেই। কিন্তু কথায় আছে 'কপালের নাম কপালের নাম গোপাল'।      যাইহোক, বিকেলের দিকে যা থাকে কপালে বলে বেরিয়ে পরি। মা-কাকি দের বাজারে পাঠিয়ে, ভাই-আমি ভেনাস মোরের দিকে যাই মায়ের মূর্তির খোঁজে। বৃষ্টিতে ঠান্ডার ঠেলা উপভোগ করতে করতে শিলিগুড়ি হাসপাতালের রোডে এসে দাঁড়াই। দেখি, তখনও থাকি থাকি মূর্তি সাজানো রয়েছে রাস্তার পাশে।        দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছিলাম, এতক্ষণে মূর্তির সংখ্যা অনেকটাই কমে আসার কথা। পছন্দসই মূর্তি বোধহয় পাবনা এই ভাবনা…
Read More
তিনটি কবিতা

তিনটি কবিতা

তুমি  ভাবনা গুলো যেন শীতের কুয়াশার মতো মায়াময়  কল্পনার আড়ালে ছায়া হয়ে রয়ে যাও তুমি আলোর প্রত্যাশায় || হৃদয়ের জগতে বসন্তের হাওয়া স্বর্গের সাথে তুলনীয়, আমি নীরবে তোমার অপেক্ষায় ||                      স্মৃতি  কিছু কিছু স্মৃতি যখন দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয় তখন মানুষ অসহায়, অব্যক্ত  কথা গুলো মনের গভীরে  রয়ে যায় অদ্ভুত বিষন্নতায় |  অনুশোচনায় ভুল ভেঙে গেলে ডাক দিও,  আমি ছুটে যাবো মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে  আত্মমগ্ন আগুনের ললাটের সৌমতায়|                       অস্থিরতা পরমাণুর মতো কত অস্থিরতা সূক্ষকণায় ভিড় জমাচ্ছে,  অস্থিরতার নেই কোনো চেহারা…
Read More
ভিজে যায় কবিতার খাতা

ভিজে যায় কবিতার খাতা

ঋতু মেনে গ্রীষ্ম শেষে শ্রাবণ আসেবৃষ্টির ধারা নেমে আসে ঝমঝমিয়েভিজে যায় আমার  সমস্ত শরীরভিজে যায় আমার দেহজ আগুনভিজে যায় আমার কবিতার খাতা। শরীর থেকে বুদবুদ ওঠেধুয়ে যায় দম্ভের শেষ বিন্দুনিভে যায় লাল রক্তের শেষ প্রদীপবিষাদের কালি গলে পড়ে টপটপ করেমুছে যায় আমার কবিতার প্রতিটা লাইন। প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে যায়আমার অহং-এর বীজচিবুক ছুঁয়ে গড়িয়ে পড়ে ব্যর্থতার ইতিহাসশূন্য পাতায় পড়ে থাকে অব্যক্ত বেদনারাসাদা অক্ষরে হারিয়ে যায় চেতনার ভাষা। শব্দেরা মুক্তি খোঁজে  উন্মুক্ত আকাশে,যেখানে উড়ে চলে বলাকার দল।সারি সারি রামধনু সেজে ওঠেশূন্য খাতার পাতায় পাতায়আবার আমি ভিজতে থাকি – আপাদমস্তক। ভিজতে থাকে আমার রিক্ত খাতার প্রত্যেকেটা সাদা পাতা।।
Read More
ধনী ও দরিদ্র       

ধনী ও দরিদ্র       

সমাজের চোখে গরীব আরও গরীব হলে এবং গরীবের গরীব হয়ে ভয়ংকর বংশ বিস্তারিত হলে কষ্টের সীমা থাকে না। অন্যদিকে সামান্য কয়জন বিপুল ধনী যারা হয়ে উঠলো, তারা কী করে ধনী হলো অথবা সেই ধনীদের পূর্বপুরুষ, মাত্র এক আনা পুঁজি নিয়ে ধনী হওয়ার স্বপ্ন,সাহস,ঝুঁকি নিয়ে যে নিরন্তর চেষ্টা করলো, সেই দিকে আরামের ও সম্মানের অবাক দৃষ্টি সমাজ কক্ষনো ফেলতে চায় না। কারণ গরীবের নির্ধন হওয়ার দুঃখের ঘটনার চেয়ে ধনীর তিল তিল করে ধন গড়ে তোলার দুরূহ প্রচেষ্টা নিয়ে ভাবা ও মেনে নেওয়া শান্তির নয়,সে অসহ্য এক বৈষম্যর ব্যাপার। সমাজ ভাবে ধনীর জন্ম হয় সৌভাগ্য ও অলৌকিক আশীর্বাদে, আর গরীবের জন্ম হয়…
Read More
ধানো মাহালি

ধানো মাহালি

মোবাইলটা লাগাতার বেড়ে যাচ্ছিল, অগত্যা ভেজা গায়েই টাওয়েল জড়িয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে ফোনটা ধরতেই হল। একরাশ বিরক্তি মাখা গলায় প্রশ্ন ছোড়ে সুশোভন, কে বলছেন ? পটাবাবু বলছেন কী? ডাষনামের সঙ্গে ‘বাবু’ যোগ করে নীলপাহাড়ির মানুষ, বড়জোর কার্মাহাটার দু'চারজন পরিচিত ছাড়া ‘সুশোভন' নামেই সবাই ডাকে। -কে আপনি? চিনলাম না তো!" স্বরে আর কাঠিন্য আনে সুশোভন। আমি থানা থেকে বড়বাবু বলছি। এস. সি. মহাপাত্র। আপনি নীলপাহাড়ি চা বাগানের বড়বাবু তো? থানা শুনে মুহুর্তে সুশোভনের স্বরের কাঠিন্য উবে যায়। ইয়েস স্যার… আমিই পটা মানে সুশোভন সাঁতরা। কী ব্যাপার স্যার? - আপনাদের বাগানের একজন লোক সেই সকাল থেকে থানায় বসে আছে। বলছে আপনাকে চেনে।…
Read More
অমরত্ব

অমরত্ব

শহরের সর্বোচ্চ উষ্ণতম দুপুরে,কালচে রাস্তা দিয়ে যখন উষ্ণ ধোঁয়া সবচেয়ে উঁচু বাড়ির দেরাজ বা মরচে পড়া লোহার জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে,ঠিক সেই দিনই তাদের প্রথম আলাপ,প্রথম দেখা,প্রথম কথা।সময় বয়ে গেল,উষ্ণতম দুপুর একসময়প্ল্যেস্টোসিন যুগের মতো শীতল,…নিথর একটা দিনে পরিনত হয়ে গেল,তখনও তাদের অবস্থান বিরাজমান। কথা বাড়লো, চেনা বাড়লো, তারা সাক্ষী থাকলো কোনো এক রোদেলা দুপুর অথবা কোনো এক বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যার।  কখনো  পাহাড়ের সাথে মিশে কখনোবা  সমুদ্রের জলে গা ভাসিয়েতারা কাটিয়ে দিলো এক একটা যুগ,পাথরের গায়ে খোদাই করা তাদের অমরত্ব   সে লিখন আর কে ই বা খন্ডাবে?
Read More
প্রাচীন ভারতে বেশ্যা ও গণিকাদের কথা(৩)

প্রাচীন ভারতে বেশ্যা ও গণিকাদের কথা(৩)

  বিম্বিসার বৈশালীর বিখ্যাত নগরনটী আম্রপালির উদাহরণে রাজগৃহে একজন চৌষট্টি কলার পারদর্শিনী সরকারি গণিকা নিযুক্ত করেছিলেন। মূলসর্বাস্তিবাদীদের বিনয় থেকে জানা যায়, আম্রপালি ছিলেন মহানাম নামক জনৈক ধনী বৈশালীবাসীর কন্যা। তিনি ছিলেন অসামান্যা রূপবতী ও গুনবতী। এই কারণে লিচ্ছবিসভা তাঁকে স্ত্রী রত্ন বলে ঘোষণা করে এবং সিদ্ধান্ত করে যে এরকম নারী কোন একজনের স্ত্রী হতে পারে না এবং এই কারণেই তাঁকে সাধারণী হতে হবে। আম্রপালি তাতে রাজি হন। তবে পাঁচটি সুবিধা লাভের শর্তে। মগধ রাজ বিম্বিসার ছিলেন আম্রপালির গুণগ্রাহী।      গৌতম বুদ্ধ বৈশালীতে পদার্পণ করলে আম্রপালি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও তাঁর উপদেশাবলী শ্রবণ করেন। এরপর আম্রপালি নিজগৃহে ভোজনের জন্য সপারিষদ বুদ্ধকে…
Read More
শেষ  বিকেল

শেষ  বিকেল

সকাল থেকেই  ধুপধুপ শব্দটা শুরু হয়েছে।প্রথমে ধীরে একটানা।বেলা বাড়িতেই শব্দটা বাড়তে থাকে আরো জোর  জোরে।আজ আর বাজারে যেতে ইচ্ছা করছে না  সুমনা দেবীর।।সারাদিনের যে মেয়েটা থাকে সঙ্গে-ছন্দা-ওই যায় সঙ্গে । আজ ওকেই পাঠালেন একা।টুকটাক জিনিস।একার সংসারে আর কতটুকু বা লাগে। মেয়েরাও রাগারাগি করে রাস্তা পেরিয়ে দোকান বাজার গেলে।তবু,সকালের দিকে একবার না গেলে ভালো লাগে না।অনেক দিনের অভ্যাস তো। ওদের বাবা চলে গেছেন তা প্রায় বছর দশেক হলো। তারপর থেকে দোকান বাজার দুধ সবই সামলেছেন একা হাতে। অফিস,সংসার,ঘর বাড়ি ছেলেপুলে মানুষ সবই করেছেন.চিরকাল নিজেই।।কোনদিন একটা রান্নার  লোকও রাখেন নি।বড় মেয়ে নন্দিতার বিয়ে হয়েছে,তাও বছর পনেরো হয়ে গেল।ওর বাবা যেদিন চলে গেলেন…
Read More
বৃষ্টি হীন

বৃষ্টি হীন

ঘুম ভাঙ্গতে অভ্যাস মতোই বিছানা থেকে হাঁক মারলো শুভ্র - "বৃষ্টি! চা দিয়ে যাও।বলেই আবার চোখ বুজলো।কিছুক্ষণ হয়ে গেছে। এখনো চা এলো না দেখে, আবার ডাকতে গিয়েই থমকালো। বুক থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো।আর কোনো দিনই বৃষ্টি আসবে না। বুকের মধ্যে যতো মেঘই জমুক। কালই আদালতে কলমের এক খোঁচায় চুকে গেছে তাদের সাত বছরের সম্পর্ক। আচ্ছা কলমের কালির একটা দাগের কি এতোটাই শক্তি, যে রবারের মতো মুছে দিতে পারে জীবনের একটা অধ্যায়! ভাবতেই সকালটা যেনো এক বিষন্নতায় ভরে গেলো।বিছানার পাশে রাখা প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বার করে ধরালো। ধোঁয়াটা পাক খেতে খেতে ওপরে উঠে যাচ্ছে। আর স্মৃতির দরজা খুলে যাচ্ছে।…
Read More
প্রাচীন ভারতে বেশ্যা ও গণিকাদের কথা (২)

প্রাচীন ভারতে বেশ্যা ও গণিকাদের কথা (২)

এই চৌষট্টি কলা বলতে যে তালিকা পাওয়া যায় তার অন্তর্ভুক্ত ছিল সঙ্গীত ও নৃত্য, তার সংগে অভিনয়, বিনা প্রস্তুতিতে মুখে মুখে কবিতা রচনা, এছাড়া সময় নিয়ে প্রস্তুত হয়ে কবিতা রচনা, ফুল দিয়ে ঘর সাজানো, মালা গাঁথা, সুগন্ধি দ্রব্য ও প্রসাদনের সামগ্রী প্রস্তুত করা, রন্ধন বিদ্যা, পোষাক-পরিচ্ছদ তৈরি করতে পারা, সূচী শিল্প, ডাকিনীবিদ্যা, ইন্দ্রজাল ও হস্ত কৌশল, ধাঁধা তৈরি করার ক্ষমতা,এমন     বাক্য রচনা, যা উচ্চারণ করতে গেলে আটকে যাবার বা গুলিয়ে যাবার সম্ভাবনা, অসিচালনা, লাঠি খেলা, ধনুর্বিদ্যা, ব্যায়াম কৌশল, ছুতোরের কাজ, স্থাপত্যবিদ্যা, তর্কশাস্ত্র, রসায়ন ও খনিজতত্ত্ব, উদ্যান রচনা, মোরগের লড়াই, তিতির পাখির লড়াই, ও ভেড়ার লড়াই শেখানো, টিয়া ও ময়নাকে কথা…
Read More
আমার আমি

আমার আমি

জানে শুধু এ শহর আর আমার ব্যর্থতাআজও আমি বহন করি মেকি সুখের নিঃস্বতা। বিষাদের আল্পনায় আর ভ্রান্ত জল্পনায় ছেয়ে গেছে হৃদয়পুর,মনপাড়ার কার্ণিসে ভাসে তেতো ওষুধের মতো তিক্ত সূর। বাসি বিছানায় লেপ্টে থাকা সেই দুর্বোধ্য রাতের কাহিনী,না চাইতেও ভেসে ওঠে, মৃত জোনাকির অবয়বখানি। নিঃশব্দে জমতে থাকা চিঠির বোঝা আজ বড্ড ভারী,স্মৃতির অতলে তোমার দীর্ঘশ্বাসে দেখো আজো ডুবে মরি। অন্ধ মোহে তুমি দেখোনি সেদিন ঠোঁটের কুন্ঠাহীন অস্থিরতা,জোনাকির গানে মুগ্ধ তুমিও লক্ষ্য করোনি আমার মৌনতা। আজ মেঘের গায়ে মেঘ জমেছে নীরবতায় বাড়ছে বিষন্নতা,ভালোবাসা মরেনি তবুও, তুমি আজও আমার অন্দরের কবিতা। ঘাসফুলের মতো তারাদের ভিড়ে হারিয়ে গেছি আমিও,দৃষ্টির অগোচরে বিষন্ন অপেক্ষারা অপেক্ষারত আজও। থমকে…
Read More