লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটার দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ ভোটার আগেই ক্ষমা চাইলেন৷ ‘দলের তরফে কোনও ভুল-ত্রুটি হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আমাকে ক্ষম করুন, কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেবেন না’, নদিয়ার সভা থেকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমনই আর্জি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ কিন্তু, ‘তৃণমূলের থেকে রানাঘাট মুখ ফিরিয়ে নিল কেন?’ এদিন সেই প্রশ্নও করেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ৷
সভা থেকে তৃণমূল সাংসদ বলেন, কেন্দ্রের মোদী সরকার ইডি-সিবিআই লাগিয়েও তাদের কেশাগ্র ছুঁতে পারেনি। দলের কিছু লোকের জন্যেই রানাঘাটের মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়েছে বলে মেনে নেন অভিষেক৷ এর পরই জেলার পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিয়ে একের পর এক বার্তা দেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন ছিল,’ জেলার পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিয়ে আপনারা খুশি? ভোট অবাধ-শান্তিপূর্ণ হবে, এটা আমার গ্যারান্টি।’ সেই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, ‘যাঁরা বেইমানি-গদ্দারি করেছেন, সব হিসাব আছে।’
পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোনও ধরনের গাফিলতি যে মেনে নেওয়া হবে না, নদিয়া থেকে সেই বার্তাও পৌঁছে দেন অভিষেক। মঞ্চ থেকেই অভিষেক বলেন, ‘চাকদায় তাতলা ১ পঞ্চায়েতের ধনিচার প্রধান সোমবারের মধ্যে ইস্তফা দিন। প্রধানকে জিজ্ঞাসা করব, শেষবার কবে পঞ্চায়েতে গিয়েছেন?’ এর আগে কাঁথির জনসভাতেও কার্যত একইসুর শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের গলায়৷