সত্যি হলো গেরুয়া শিবিরের তরফে করা অভিযোগ। সোমবার বিধানসভায় ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে গিয়েছে এই আচার্য বিল। কিন্তু বিজেপি তরফ থেকে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে ভোটাভুটি নিয়ে। এই ইস্যুতে তাঁরা আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তৃণমূল শিবির থেকে তা মানা হয়নি। কিন্তু এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত এই ‘ভুল’ স্বীকার করে নিয়েছেন। এমনকি এই বিষয়ে তিনি বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
আচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে যে ভোটাভুটি হয়েছে বিধানসভায় তাতে বিলের পক্ষে ১৮২ এবং বিপক্ষে ৪০টি ভোট পড়ে। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, আচার্য বিলের বিপক্ষে তাঁদের ৫৭ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন কিন্তু ভোট গৃহীত হয়েছে ৪০ জনের। এই প্রেক্ষিতেই তাঁরা গণনায় দুর্নীতির কথা তুলেছেন। এই ইস্যুতেই আজ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এমন ভুল ভবিষ্যতে হবে না, এমন আশা করছেন তিনি। আর তাঁর তরফ থেকে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ পর্যন্ত তিনি দিয়েছেন।
যদিও তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তাদের ১৮২ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন এবং সকলেই ভোট দিয়েছেন। তাই এই নিয়ে এখনও অনেক প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে। তবে শুধু কি বিধানসভায় পাশ করলেই তা আইনে পরিণত হবে? এককথায়, না। এই বিলে রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন। তিনি অনুমোদন না দিলে এই বিল আইনে পরিণত হবে না। এতদিন ধরে তিনিই রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। এখন তাই এটাই দেখার যে রাজ্যপাল এই বিলে অনুমোদন দেন কিনা।