বিনামূল্যে লিফট দেওয়া ট্রাক চালকদের বিশেষ উপহার চানুর

২০২০ টোকিয়ো অলিম্পিকে ভারতের প্রথম পদকজয়ী। পদক জয়ের পর মীরাবাঈ প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যাঁরা তাঁর এই স্বপ্নকে সত্যি করতে সাহায্য করেছে। সেই তালিকায় ছিলেন বেশ কয়েকজন লরি চালক যাঁরা সেই শুরুর দিন থেকে তাঁর পাশে ছিলেন এবং মীরাবাঈকে তাঁর গ্রাম থেকে ট্রেনিং অ্যাকাডেমি পর্যন্ত নিখরচায় পৌঁছে দিতেন। অবশেষে ভারতের এই মহিলা পদকজয়ী সেই কাজটাই করলেন।

২৬ বছর বয়সি এই অ্যাথলিট পূর্ব মণিপুরের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। ইম্ফলের অনুশীলন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য তাঁকে প্রতিদিন ৩০ কিলোমিটার করে যাতায়াত করতে হত।কিন্তু, অনুশীলন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কার্যত পাওয়াই যেত না। সেকারণেই বালি বোঝাই লরিতে চেপে ইম্ফলে যেতে হত মীরাবাঈকে।

ইতিপূর্বে তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, ‘আমি সেই সকল লরি চালকদের খোঁজ চালাচ্ছি, যাঁরা আমাকে প্রতিদিন বাড়ি থেকে অনুশীলন কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দিতেন। তাঁদের আশীর্বাদ গ্রহণ করতে চাই। আমার জীবনের কঠিন সময়ে ওরা আমাকে সত্যিই সাহায্য করেছিলেন। আমি ওই লরি চালকদের খোঁজ চালাচ্ছি, যাতে আমি এবার ওদের জন্য কিছু সাহায্য করতে পারি।’

অবশেষে চানু সেই লরি চালকদের খোঁজ পেয়েছেন। তিনি নিজের প্রতিশ্রুতির কথা মাথায় রেখে সাধ্যমতো সাহায্যও করেছেন। বৃহস্পতিবার মীরাবাঈ ওই লরি চালকদের ডাকেন এবং মন থেকে কৃতজ্ঞতাও জানান। ১৫০ জন লরিচালক এবং তাঁদের খালাসিদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি তাঁদের একটা করে জামা এবং মণিপুরী স্কার্ফ উপহার দেওয়া হয়। মীরাবাঈ চানু এবং এই লরি চালকদের পারষ্পরিক ব্যবহার প্রমাণ করে দেয়, কোনও মহৎ কাজ করার জন্য শুধুমাত্র সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেই হয়।